একটা নবজাতকের মা এর আত্মকাহিনাঃ
শাশুড়িঃ-বাবুর শিশির তেনা গুলো তাড়াতাড়ি ধুয়ে দাও,,শুকিয়ে যাক ।
মাঃ-তুই রাখ অগুলো আমি ধুয়ে দিচ্ছি।
শাশুড়িঃ- বৌ,,, বাবুকে গোসল করিয়ে দাও বেলা চলে গেলো।
মাঃ-গোসল করিয়ে তেল দিয়ে দিছি কোন জামাটা পরাবি।
শাশুড়িঃ-বৌ বাবুকে কখন খাওয়াবা খুদা লাগছে না বাবুর।
মাঃ- এই দেখ পুরা ফিটার খালি খাওয়া শেষ।
শাশুড়িঃ- খাওয়াতে নিলে কান্না করবো কে আমি বুঝিও না।
মাঃ- দে তোর কাছে খাবে না আমি খাওয়াই।
শাশুড়িঃ- বৌ বাবু পটি করছে আসো তাড়াতাড়ি।
মাঃ-(আম্মু কি করো),,,,,,,,,
বাবু পটি করছিলো ধোয়াই দিলাম।
শাশুড়িঃ- বাবু পানি খাবো গো।
মাঃ- বাবুরে পানি খাওয়াইলাম।
শাশুড়িঃ- বাবুন পটির পেনটা এখনো ধোও নাই ওইখানে ফালাই রাখছো কেন?সন্ধ্যায় ধুবা?
মাঃ-এতো সকালেই এগুলো নিয়ে বের হইছোছ ক্যান রাখ আমি ধুবো।
শ্বাশুড়িঃ- বাবু কান্না করতেছে ধরো নেও।
মাঃ- বাবুকে দে আমার কাছে কান্না করতাছে।
শ্বাশুড়িঃ- বাবুর কাপড় গুলা উঠাও গো, ঠান্ডা হয়ে গেলো।
মাঃ-দেখ বাবুর জামা উঠায়ে গরম গরম ভাজ করে রাখছি।
শ্বাশুড়িঃ-আল্লাহ রে শিশি করে একদম ভিজাইলো।
মাঃ- আমার নানু ভাই ই তো শিশি করবো। করো নানু
শ্বাশুড়িঃ- গোসলের পানি এতো ঠান্ডা কেন?
মাঃ- গোসলের পানি রেডি বাবুরে নিয়া আয়।
শাশুড়িঃ- এমনে খাওয়াও কেন? এমনে গোসল করাও কেন? এম্নে তেল দেও কেন? এমনে মুছাও কেন? এমনে জামা পরাও কেন? এমন করলা কেন?
মাঃ- খাওয়াইলাম। গোসল করাইলাম। তেল দিয়ে দিলাম। মুছাই দিলাম। জামা পরাই দিছি। সব কিছু এমন করে করবি। এখন শিখ পরের টা আমি না থকলে নিজে নিজে করিস।🙂
মা এটা একটা শব্দ না এটা একটা ভালোবাসা, এটা একটা আশ্রয়, এটা একটা ভরসার জায়গা, এটা সকল সুখের আধার।
আর এই মায়ের ঋন কখনো শোধ করা যায় না।
Comments
Post a Comment